Saturday, April 18, 2015

সরাসরি কোরআন হাদিস মানার দাবীর অসারতা

আমার গবেষণাঃ-১
******************
আগেই বলেছিলাম আহলে হাদিসদের কিছু নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করব। যে গুলো তাদের মুলমন্ত্র হিসেবে কাজ করছে। আর এ মূলনীতি গুলোই তাদের ভ্রষ্টতার মুল কারন।
কেননা, এ গুলো অংকের সুত্রের মত। সুত্র সঠিক হলে অংক সঠিক, সুত্র ভুল হলে অংক ভুল। অথচ তারা একবার ও ভেবে দেখছেনা এ মূলনীতিগুলো ইসলাম ও মুসলিমদের কত বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে এবং হচ্ছে ও তাই।
আমি তাদের একেকটি মূলনীতির তুলনামূলক বিশ্লেষণ আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
মূলনীতিঃ সরাসরি একমাত্র কোরআন ও সহিহ হাদিস মানবঃ
************************************************
( দেখুন স্লোগানটি কত সুন্দর । কিন্তু এ স্লোগান জন্ম দিবে বহু প্রশ্নের । যার কিছু আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।)
১। সর্বপ্রথম সমস্যায় পরবেন তারা নিজেরাইঃ-
***************************************************
ক) যে কেউ তাদের কে প্রশ্ন করতে পারেন, আচ্ছা !! যেহেতু আপনারা কোন তাবীল ছাড়া সরাসরি কোরআন হাদিস মানার দাবি করেন । তাহলে আমাদের কে কোরআন - হাদিস থেকে একটা প্রমাণ দেখান যেখানে এ কথাটা সরাসরি বলা আছে? যে একমাত্র কোরআন ও সহিহ হাদিস মান ? কেননা হাদিসে আছে # আল্লাহর কিতাব # রাসুলের সুন্নাতের কথা। আর হাদিস এবং সুন্নাতের মধ্যে পার্থক্য আছে।
খ) আহলে হাদিস নামটি কোরআন ও সহিহ হাদিস থেকে প্রমাণ করুন?
গ) হাদিসের যে শ্রেণি বিন্যাস ( সহিহ, জইফ, মউজ, হাসান, লি যাতিহি, শাজ, মারফু, মাকতু,) এ গুলো প্রমাণ করুন এতদুভয়ের আলোকে ।
ঘ) বোখারি ও মুসলিম সহিহ এটা কোরআন - হাদিস থেকে প্রমাণ করুন।
ঙ) আমাদের বহুল প্রচলিত ৬ টি হাদিসের কিতাব যে গুলোকে সিহাহ সিত্তা বলা হয় এগুলু যে আসল তা কোরআন - সহিহ হাদিসের আলোকে প্রমাণ করুন।
চ) বর্তমান যে শেখদের কথা আপনারা মানছেন তাদের মানার ব্যপারে কি কোরআন ও সহিহ হাদিসে কোন নিরদেশনা ছিল বা আছে?????
ছ) আহলে হাদিস অনুসারি সবাই কি সরাসরি কোরআন - হাদিস বুঝে? যদি না বুঝে তাহলে তারা কিভাবে চলে ?
জ) যদি কেউ বলে হাদিসের সংজ্ঞা কি ? কোরআন - হাদিসের আলোকে বলুন। বলতে পারবেন?
ঝ) পরিপূর্ণ ভাবে দু রাকআত নামাজ সহিহ হাদিসের আলোকে প্রমাণ করে দেখান। (প্রত্যেক আমলের জন্য ইখতিলাফ ছাড়া আলাদা আলাদা সহিহ হাদিসের দলিল সহ)
********************************************************
এ মুলনীতির কারনে ইসলামের যে ক্ষতিগুলো হবেঃ=
********************************************************
ক) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অসংখ্য হাদিস যে গুলো মুহাদ্দিসিনে কেরামদের উসুল অনুযায়ী হয়ত পরিভাষাগত সহির পর্যায়ে নয় কিন্তু আমল যোগ্য। এ ধরনের হাদিস বাদ পড়ে যাবে।
খ) সাহাবাদের মাধ্যমে মীমাংসিত বিভিন্ন আমলের ব্যাপারে যে কারো প্রশ্ন তোলার সুযোগ সৃষ্টি হবে। ( যেমনটা আহলে হাদিসরা অনেক ক্ষেত্রে করছেন ও ।
গ) সাহাবায়ে কেরামগন যে সত্যের মাপকাঠি" আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের এ আকিদা ঠিক থাকবেনা ।
ঘ) ফুকাহায়ে কেরামদের বিশাল খিদমাত অনর্থক মনে হবে।
ঙ) মুফাসসিরিনদের বিরাট খিদমত অহেতুক মনে হবে।
চ) তাবীঈ তাবে তাবেইদের কোন মূল্যায়ন থাকবেনা ।
ছ ) রাসুল ঘোষিত শ্রেষ্ঠ ৩ যুগের কথা বেকার হয়ে যাবে ।
জ) অনেক হাদিস যেখানে সাহাবাদের কে মানার কথা বলা হয়েছে সেগুলো প্রশ্নযুক্ত হবে।
ঞ) সাধারণ মুসলমানগণ ধর্ম পালনের ব্যাপারে নিরুৎসাহ বোধ করবে। কেননা এ মূলনীতির উপর চলা তাদের পক্ষে মোটেও সম্ভব নয়। চলবে--------
লিপিকায়ঃ মুফতি মুহা.শামসুদ্দোহা আশরাফি । প্রকাশনায় www.jirubd.com

No comments:

Post a Comment