Saturday, April 18, 2015

কুরআনের আলোকে মাযহাব

কুরআনের আলোকে মাযহাব ঃপর্ব (5) আসলে সিরাতে মুস্তাকিম কি ?
**************************************************************************
পঞ্চম আয়াতঃ সূরা- আল ফাতিহা, ৬-৭ আয়াত।
অর্থঃ “হে আল্লাহ ! আমাদেরকে সরল পথে পরিচালিত কর ।অর্থাৎ তাদের পথে, যাদেরকে তুমি নিয়ামত দান করেছ ।
সরল পথে পরিচালিত কর;এর অর্থই হল,যাদেরকে তুমি নিয়ামত ও পুরস্কার দিয়েছ,তাদের পথ দেখাও।
এখন প্রশ্ন হল -যাদেরকে আল্লাহ নিয়ামত দিয়ে ধন্য করেছেন, তাদের পরিচয় কি? এর জবাব হল-তাদের পরিচয় হিসেবে আল্লাহ তাআলা সুরায়ে নিসায় ইরশাদ করেনঃ “যাদেরকে আল্লাহ নিয়ামত দান করেছেন, তারা হলেনঃ নবী, সিদ্দিক,শহিদ ও সৎকর্মশিল ব্যক্তিবর্গ।”(দেখুনঃ সূরা- আন নিসা, ৬৯ নং আয়াত।)

তাহলে, যারা নিয়ামত লাভ করেছে তাদের পথে পরিচালিত কর, এর অর্থ হল উক্ত আয়াতে উল্লেখিত চার দল তথা নবী,সিদ্দিক,শহিদ ও সৎকর্ম শীল ব্যক্তিবর্গের পথে পরিচালিত কর। কারন, তাদের পথই সরল পথ। তাই তো তারা হয়েছেন।আর যারা তাদের পথ অনুসরণ করবে তারাও পুরস্কৃত হবে।এখানে একটি জিনিস লক্ষ করুন এখানে আল্লাহ তাআলা ইচ্ছা করলে সরাসরি কোরআন – হাদিসের কথা বলতে পারতেন । কিন্তু আল্লাহ বললেন চার ধরনের লোকের কথা । যাদের সবাই মানুষ।
সুতরাং এ আয়াত থেকে ও আমরা বুঝতে পারি আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশ্য হল সিরাতে মুস্তাকিমের উপর চলা । আর সেটা এ চার ধরনের লোকের পথ।
প্রিয় পাঠক! আমরা পুরা আলোচনা থেকে বুঝতে পারলাম। দীনি বিষয়ে কোরআন সুন্নাহের ব্যাপারে অভিজ্ঞ লোকদের কথা মানা যাবে। আর এ মানার নাম ই হল মাজহাব। সুতরাং কোরআনের আলোকে মাজহাব মানার প্রমাণ পাওয়া গেলো।
আল্লাহ তাআলা আমাদের ঐ সকল ভাইদের কে বুঝার তাওফিক দান করুক যারা বিভিন্ন শায়খদের কথা শুনে অনর্থক ই মাজহাব কে কোরআন সুন্নাহ বহির্ভূত বলার ব্যর্থ চেষ্টা করেন আমিন।
প্রচারেঃwww.jirubd.com
কুরআনের আলোকে মাযহাব ঃপর্ব (৩)ধর্মীয় ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষ কে মানা যাবে? চলুন দেখি কোরআন কি বলে?
********************************************
তৃতীয় আয়াত: আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ واتّبع سبيل من أناب اليّ যে আমার অভিমুখী হয়েছে , তুমি তার পথ অনুসরণ কর । সুরা লোকমানঃ ১৫
এ আয়াতে মূলত আবু বকর রা. মতান্তরে সা”দ ইবনে ওয়াককাসের ব্যাপারে মন্তব্য করা হলেও কোন কোন তাফসীর কারক বলেছেন, এখানে উদ্দেশ্য হল , ধর্মানুরাগী মুসলমান ।
আল্লামা জমখসরি লিখেন,আল্লাহ অভিমুখী বলতে মুমিনদের পথ বুঝানো হয়েছে । কাজেই আয়াতের অর্থ হল, তুমি দ্বীন ধর্মের ক্ষেত্রে মুমিনগণের পথ অনুসরণ কর । সুত্রঃ আল কাসসাফ-৩/৪৭৯।
দেখুন এ আয়াতে মুমিন ও ধর্মানুরাগী মুসলমানদের পথে চলার প্রতি আদেশ দেয়া হয়েছে। সরাসরি কোরআন- সুন্নাহ মানার কথা কিন্তু বলা হয়নি। যদ্দার বুঝা যায়, কোরআন – সুন্নাহর অভিজ্ঞ লোকদের কথা মানা যাবে।
এখন আপানারাই বলুন চার ইমাম কি মুমিন ও ধর্মানুরাগী ছিলেননা ? তারা কি কোরআন – সুন্নায় অভিজ্ঞ ছিলেন না ? উত্তরে অবশ্যই বলতে হবে হ্যাঁ ছিলেন। বরং বলতে হবে নবী ও সাহাবাদের পর তারা যুগ শ্রেষ্ঠ, সর্ব স্বীকৃত, সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন। তাদের সমকক্ষ এখনো পর্যন্ত পৃথিবীতে কেউ আসেনি। আগামীতে কেউ আসবে কিনা আল্লাহ ভাল জানেন। যদি আসেন তাহলে ভাল কথা । তিনি তার মত করে আমল করবেন।
কিন্তু আমরা যারা এ চার ইমামের তুলনায় কিছুই না আমরা তো তাদের কোরআন- সুন্নাহর আলোকে প্রণীত সমাধান গুলো মানতে পারি। আর এ মানার নাম ই মাজহাব। সুতরাং এ আয়াতের আলোকে ও বুঝা যায়, মাজহাব মানা যাবে।
হে আল্লাহ! আমাদের কে সরল পথে পরিচালিত কর ।অর্থাৎ তাদের পথে যাদের কে তুমি নেয়ামত দান করেছ ।
প্রচারেঃwww.jirubd.com

No comments:

Post a Comment