একটি (নির্মম) বাস্তব ঘটনা।
********************************
মুহাম্মদ রবিউল ইসলাম। আমার বড় ভাইয়ার সাথে চলাফেরা। এ সুবাদে আমার সাথে ও ভালই সখ্যতা। খুবই সহজ সরল। একটা সময় নামাজ - রোজার ধার না ধারলেও ভাইয়া ও আমার প্রচেষ্টায় , দাওয়াত ও তাবলীগে সময় লাগিয়ে এখন নামাজ পড়ছেন। হক্কানি উলামাদের খুবই পছন্দ করেন। তাঁর একমাত্র ছেলেকেও মাদরাসায় পড়তে দিয়েছেন। তাঁর সবচেয়ে বড় একটা গুন, তিনি খুবই পরোপকারী। আমাদের পরিবারের ও অনেক কাজ করে দেন নিঃস্বার্থ ভাবে।
গত দুদিন আগে সে তাঁর মাদরাসায় পড়ুয়া ছেলেকে দেখার জন্য বাড়ি থেকে cng তে করে রওয়ানা দেয়। কিছুদূর যাওয়ার পর তাদের cng টা এক্সিডেন্ট হয়। এতে তিনি সহ আরোহী সবাই আহত হন। তবে এক ভাই খুব বেশী আহত হয়ে পরে থাকেন। কিন্তু উপস্থিত কেউ তাকে সাহায্য করছেনা দেখে রবিউল ভাই নিজের ব্যথার কথা ভুলে তাঁর সভাব সুলভ ঐ আহত ভাইকে তুলে পাশের একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বললেন এখানে হবে না । তাকে কুমিল্লা মেডিকেলে নিতে হবে। রবিউল ইসলাম ভাই নিজ পকেটের টাকা দিয়ে ভাড়া দিয়ে তাই করলেন। হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তারদের হাতে ঐ লোককে তুলে দিয়ে তিনি কিছুটা নির্ভার হয়ে আসার ইচ্ছা করলে ও পরে আবার ভাবলেন লোকটার কি হয় না হয়? তাই অপেক্ষায় থাকলেন শেষ অবস্থা জানার জন্য।
কিছুক্ষন পর তিনি দেখলেন ঐ আহত লোক বের হয়ে এসেছে। পথিমধ্যেই সে দু চার জন লোকের সাথে কি যেন বলে চলে গেলেন।
এর একটু পরেই রবিউল ইসলাম ভাই দেখলেন কিছু লোক তাঁর দিকে আসছে। এসেই তারা বলল, তুমি ওমোক লোকের মাথা ফাটিয়েছ।
তিনি বললেন না । বরং আমি তাকে উদ্ধার করেছি। যদি আমার কথা বিশ্বাস না হয় আপনারা তাকে ডাকুন।
তারা কোন কথা না শুনে আরও কয়েকজন মিলে রবিউল ভাইকে মারা আরম্ভ করল। এবং একটা পর্যায়ে তাকে হাস্পাতালের একটি কক্ষে বন্ধি করে রাখল।
কিছুক্ষণ পর তাদের আসল চেহারা ও উদ্দেশ্য পরিস্কার হল। তারা উনাকে চাপ দিলেন বিষ হাজার টাকা দেয়ার জন্য। অন্নথায় তাকে ছাড়বেন না।
দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা এ অবস্থা চলার পর তিনি নিরুপায় হয়ে আমার ভাইয়ার কাছে ফোন দিলেন।
ভাইয়াও তাঁর অসহায় অবস্থার কথা বিবেচনা করে টাকা পাঠিয়ে দিলেন। পরে সে জানে রক্ষা পেল।
ঘটনা বলার উদ্দেশ্য হল, এ কোন ধরনের আচরণ? যাকে উদ্ধার করলেন এই লোক ই তাকে ডাকাতদের হাতে তুলে দিয়ে গেল। তিনি যার জন্য জীবনের মায়া ত্যাগ করে , নিজের শারীরিক কথা না ভেবে চিকিৎসা দিলেন আর সেই কিনা তাঁর সাথে এ আচরন করল। আল্লাহ্ মাফ করুন। আর সাবধানতার সাথে পা বাড়ানোর তাওফিক দান করুন।
প্রচারেঃ jirubd.com
********************************
মুহাম্মদ রবিউল ইসলাম। আমার বড় ভাইয়ার সাথে চলাফেরা। এ সুবাদে আমার সাথে ও ভালই সখ্যতা। খুবই সহজ সরল। একটা সময় নামাজ - রোজার ধার না ধারলেও ভাইয়া ও আমার প্রচেষ্টায় , দাওয়াত ও তাবলীগে সময় লাগিয়ে এখন নামাজ পড়ছেন। হক্কানি উলামাদের খুবই পছন্দ করেন। তাঁর একমাত্র ছেলেকেও মাদরাসায় পড়তে দিয়েছেন। তাঁর সবচেয়ে বড় একটা গুন, তিনি খুবই পরোপকারী। আমাদের পরিবারের ও অনেক কাজ করে দেন নিঃস্বার্থ ভাবে।
গত দুদিন আগে সে তাঁর মাদরাসায় পড়ুয়া ছেলেকে দেখার জন্য বাড়ি থেকে cng তে করে রওয়ানা দেয়। কিছুদূর যাওয়ার পর তাদের cng টা এক্সিডেন্ট হয়। এতে তিনি সহ আরোহী সবাই আহত হন। তবে এক ভাই খুব বেশী আহত হয়ে পরে থাকেন। কিন্তু উপস্থিত কেউ তাকে সাহায্য করছেনা দেখে রবিউল ভাই নিজের ব্যথার কথা ভুলে তাঁর সভাব সুলভ ঐ আহত ভাইকে তুলে পাশের একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বললেন এখানে হবে না । তাকে কুমিল্লা মেডিকেলে নিতে হবে। রবিউল ইসলাম ভাই নিজ পকেটের টাকা দিয়ে ভাড়া দিয়ে তাই করলেন। হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তারদের হাতে ঐ লোককে তুলে দিয়ে তিনি কিছুটা নির্ভার হয়ে আসার ইচ্ছা করলে ও পরে আবার ভাবলেন লোকটার কি হয় না হয়? তাই অপেক্ষায় থাকলেন শেষ অবস্থা জানার জন্য।
কিছুক্ষন পর তিনি দেখলেন ঐ আহত লোক বের হয়ে এসেছে। পথিমধ্যেই সে দু চার জন লোকের সাথে কি যেন বলে চলে গেলেন।
এর একটু পরেই রবিউল ইসলাম ভাই দেখলেন কিছু লোক তাঁর দিকে আসছে। এসেই তারা বলল, তুমি ওমোক লোকের মাথা ফাটিয়েছ।
তিনি বললেন না । বরং আমি তাকে উদ্ধার করেছি। যদি আমার কথা বিশ্বাস না হয় আপনারা তাকে ডাকুন।
তারা কোন কথা না শুনে আরও কয়েকজন মিলে রবিউল ভাইকে মারা আরম্ভ করল। এবং একটা পর্যায়ে তাকে হাস্পাতালের একটি কক্ষে বন্ধি করে রাখল।
কিছুক্ষণ পর তাদের আসল চেহারা ও উদ্দেশ্য পরিস্কার হল। তারা উনাকে চাপ দিলেন বিষ হাজার টাকা দেয়ার জন্য। অন্নথায় তাকে ছাড়বেন না।
দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা এ অবস্থা চলার পর তিনি নিরুপায় হয়ে আমার ভাইয়ার কাছে ফোন দিলেন।
ভাইয়াও তাঁর অসহায় অবস্থার কথা বিবেচনা করে টাকা পাঠিয়ে দিলেন। পরে সে জানে রক্ষা পেল।
ঘটনা বলার উদ্দেশ্য হল, এ কোন ধরনের আচরণ? যাকে উদ্ধার করলেন এই লোক ই তাকে ডাকাতদের হাতে তুলে দিয়ে গেল। তিনি যার জন্য জীবনের মায়া ত্যাগ করে , নিজের শারীরিক কথা না ভেবে চিকিৎসা দিলেন আর সেই কিনা তাঁর সাথে এ আচরন করল। আল্লাহ্ মাফ করুন। আর সাবধানতার সাথে পা বাড়ানোর তাওফিক দান করুন।
প্রচারেঃ jirubd.com
No comments:
Post a Comment