আমার গবেষণাঃ ২
***********************
আহলে হাদিস (দাবীদার) শাইখগণের আর ও একটি মূলনীতি যদ্দারা তারা খুব সহজেই কলেজ - ভার্সিটিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মুসলমানদের বুঝাতে সক্ষম হয় যে মাযাহব মান যাবে না।
মূলনীতিটি হলঃ মাযহাব মানার বিষয়টি চতুর্থ শতাব্দীর পর থেকে সূচনা। যা আমাদের নবীজী দুনিয়া ছেড়ে চলে যাবার বহু বছর পরে হয়েছে। আর নববি যুগে ছিলনা পরবর্তীতে এসেছে এমন কাজ ই বিদআত। তাই মাজহাব মানা ও বিদআত।
************************************************************************************
এক কথায় তারা যুগের তফাৎ কে দলিল বানিয়ে দীনের এ মহান খিদমত কে বিদআত ও ভুয়া প্রমাণ করতে চায়।
*************************************************************************************
পর্যালোচনাঃ - প্রথমত তাদের এ দাবি ই ভুল যে নববি যুগে মাজহাব তথা ধর্মীয় বিষয়ে কাউকে মানার প্রচলন ছিলনা। বরং এ প্রচলন ছিল। নিচে তার কিছু প্রমাণ তুলে ধরছি।
(১) রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুয়ায বিন জাবাল কে ইয়ামানে গভর্নর হিসেবে পাঠান। লোকেরা তাকে প্রশ্ন করে কেউ ১ কন্যা ও এক বোন রেহকে মারা গেলে সম্পদ বণ্টন পদ্ধতি কি হবে ? উত্তরে তিনি বলেন প্রত্যেকের অংশ সমান। বোখারি শরিফঃ ৮/৩১৫ হাঃ ৬৭৩৪ সুতরাং বুঝা যায় সোনালী যুগে এর প্রচলন ছিল।
(২) জনৈকা মহিলা নবিজিক এসে বলল ইয়া রাসুলাল্লাহ, আমার স্বামী জিহাদে গেছেন। সে থাকাবস্থায় তার নামাজ ও অন্নান্ন যাবতীয় আমল অনুসরন করতাম। ----
মুসনাদে আহমদ ৩/৪৩৯ , এখানে লক্ষ করুন এক মহিলা সরাসরি নবিজিকে বলছে নামাজ সহ যাবতীয় বিষয়ে আমার স্বামীর অনুস্মরণ করি নবীজী কিছুই বললেন না ।
এতেও বুঝা যায় নববি যুগেই এর প্রমাণ ছিল।
(৩) অপর এক হাদিসে নবীজী বলেনঃ আমি তোমাদের জন্য তাই পসন্দ করি যা আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ পসন্দ করেন। মুসতাদ রাকে হাকেম ৩/৩১৯ হা ৫৩৯৪
************************************************************************************
এবার আসুন জেনে নেই আহলে হাদিস (দাবীদারদের) মূলনীতি মানলে কি কি সমস্যায় পড়তে হবেঃ
************************************************************************************
(১) তাদের এ মূলনীতি মেনে নেয়া হলে আমাদের অসংখ্য হাদিস ভাণ্ডার কে (নাউযুবিল্লাহ , আল্লাহ না করেন) ভুয়া বলার মত সুযোগ সৃষ্টি হবে। যেমনটা আহলে কোরআন দাবীদাররা বলছেও । কেননা নববি যুগে বোখারি, মুলসিম ইত্যাদি নামে কোন কিতাব ছিলনা এবং যারা সংকলক তারাও ছিলনা।
(২) মুহাদ্দিসিনে কেরামদের খিদমাত গুলো কে যে কেউ বিদআত আখ্যা দেয়ার দুঃসাহস করবে। কেননা এ গুলো ২য় শতাব্দীর পর শুরু হয়েছে।
(৩) বর্তমান যে কোরআন আমাদের কাছে আছে (নাউযুবিল্লাহ , আল্লাহ না করেন) এটাকে বিদআত আখ্যা দেয়ার মত পথ সৃষ্টি হবে। কেননা বর্তমান যবর, যের, পেশ অর্থাৎ এরাব বিশিষ্ট ও হুবহু এ তারতিবের কোরআন নবিজির আমলে ছিলনা।
(৪) তাফসিরের খিদমত ও লিখিত কিতাব গুলোকে ভুয়া ও এ কাজ কে অপ্রয়োজনীয় বলার পরিবেশ তৈরি হবে।
(৫) বোখারি, মুসলিম সহ হাদিসের সব কিতাব নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ পাবে।
(৫) নাহু, সরফ, বালাগাত, ইলমে কালাম ও এ গুলোর উপর রচিত কিতাব কে বিদআত ও ভুয়া বলার সুযোগ সৃষ্টি হবে। কেননা এ সব গুলোই তো নববি যুগের পড়ে সুচিত।
এক কথায় তাদের এ মুলনীতি মানা হলে ধর্মীয় বহু জিনিস যা আজ উম্মাহ সর্বসম্মত ভাবে মেনে নিয়েছে এমন বহু জিনিস প্রশ্ন বিদ্ধ হয়ে যাবে।
অথচ আমরা দীনি এ বিষয়গুলোকে ধর্মীয় প্রয়োজনে গ্রহণ করে নিয়েছি।
অনুরূপভাবে যেহেতু মাজহাব মানার বিষয়টি ও ধর্মীয় প্রয়োজনে উলামাদের সর্বসম্মত সম্মতি তথা ইজমার মাধ্যমে আমরা পেয়েছি তাই এটা মেনে নিলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
আল্লাহ তাআলা আমাদের কে হক জিনিস গ্রহন করার তাওফিক দান করেন ।
মাসসালাম- মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফি
প্রচারে- www.jirubd.com
***********************
আহলে হাদিস (দাবীদার) শাইখগণের আর ও একটি মূলনীতি যদ্দারা তারা খুব সহজেই কলেজ - ভার্সিটিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মুসলমানদের বুঝাতে সক্ষম হয় যে মাযাহব মান যাবে না।
মূলনীতিটি হলঃ মাযহাব মানার বিষয়টি চতুর্থ শতাব্দীর পর থেকে সূচনা। যা আমাদের নবীজী দুনিয়া ছেড়ে চলে যাবার বহু বছর পরে হয়েছে। আর নববি যুগে ছিলনা পরবর্তীতে এসেছে এমন কাজ ই বিদআত। তাই মাজহাব মানা ও বিদআত।
************************************************************************************
এক কথায় তারা যুগের তফাৎ কে দলিল বানিয়ে দীনের এ মহান খিদমত কে বিদআত ও ভুয়া প্রমাণ করতে চায়।
*************************************************************************************
পর্যালোচনাঃ - প্রথমত তাদের এ দাবি ই ভুল যে নববি যুগে মাজহাব তথা ধর্মীয় বিষয়ে কাউকে মানার প্রচলন ছিলনা। বরং এ প্রচলন ছিল। নিচে তার কিছু প্রমাণ তুলে ধরছি।
(১) রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুয়ায বিন জাবাল কে ইয়ামানে গভর্নর হিসেবে পাঠান। লোকেরা তাকে প্রশ্ন করে কেউ ১ কন্যা ও এক বোন রেহকে মারা গেলে সম্পদ বণ্টন পদ্ধতি কি হবে ? উত্তরে তিনি বলেন প্রত্যেকের অংশ সমান। বোখারি শরিফঃ ৮/৩১৫ হাঃ ৬৭৩৪ সুতরাং বুঝা যায় সোনালী যুগে এর প্রচলন ছিল।
(২) জনৈকা মহিলা নবিজিক এসে বলল ইয়া রাসুলাল্লাহ, আমার স্বামী জিহাদে গেছেন। সে থাকাবস্থায় তার নামাজ ও অন্নান্ন যাবতীয় আমল অনুসরন করতাম। ----
মুসনাদে আহমদ ৩/৪৩৯ , এখানে লক্ষ করুন এক মহিলা সরাসরি নবিজিকে বলছে নামাজ সহ যাবতীয় বিষয়ে আমার স্বামীর অনুস্মরণ করি নবীজী কিছুই বললেন না ।
এতেও বুঝা যায় নববি যুগেই এর প্রমাণ ছিল।
(৩) অপর এক হাদিসে নবীজী বলেনঃ আমি তোমাদের জন্য তাই পসন্দ করি যা আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ পসন্দ করেন। মুসতাদ রাকে হাকেম ৩/৩১৯ হা ৫৩৯৪
************************************************************************************
এবার আসুন জেনে নেই আহলে হাদিস (দাবীদারদের) মূলনীতি মানলে কি কি সমস্যায় পড়তে হবেঃ
************************************************************************************
(১) তাদের এ মূলনীতি মেনে নেয়া হলে আমাদের অসংখ্য হাদিস ভাণ্ডার কে (নাউযুবিল্লাহ , আল্লাহ না করেন) ভুয়া বলার মত সুযোগ সৃষ্টি হবে। যেমনটা আহলে কোরআন দাবীদাররা বলছেও । কেননা নববি যুগে বোখারি, মুলসিম ইত্যাদি নামে কোন কিতাব ছিলনা এবং যারা সংকলক তারাও ছিলনা।
(২) মুহাদ্দিসিনে কেরামদের খিদমাত গুলো কে যে কেউ বিদআত আখ্যা দেয়ার দুঃসাহস করবে। কেননা এ গুলো ২য় শতাব্দীর পর শুরু হয়েছে।
(৩) বর্তমান যে কোরআন আমাদের কাছে আছে (নাউযুবিল্লাহ , আল্লাহ না করেন) এটাকে বিদআত আখ্যা দেয়ার মত পথ সৃষ্টি হবে। কেননা বর্তমান যবর, যের, পেশ অর্থাৎ এরাব বিশিষ্ট ও হুবহু এ তারতিবের কোরআন নবিজির আমলে ছিলনা।
(৪) তাফসিরের খিদমত ও লিখিত কিতাব গুলোকে ভুয়া ও এ কাজ কে অপ্রয়োজনীয় বলার পরিবেশ তৈরি হবে।
(৫) বোখারি, মুসলিম সহ হাদিসের সব কিতাব নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ পাবে।
(৫) নাহু, সরফ, বালাগাত, ইলমে কালাম ও এ গুলোর উপর রচিত কিতাব কে বিদআত ও ভুয়া বলার সুযোগ সৃষ্টি হবে। কেননা এ সব গুলোই তো নববি যুগের পড়ে সুচিত।
এক কথায় তাদের এ মুলনীতি মানা হলে ধর্মীয় বহু জিনিস যা আজ উম্মাহ সর্বসম্মত ভাবে মেনে নিয়েছে এমন বহু জিনিস প্রশ্ন বিদ্ধ হয়ে যাবে।
অথচ আমরা দীনি এ বিষয়গুলোকে ধর্মীয় প্রয়োজনে গ্রহণ করে নিয়েছি।
অনুরূপভাবে যেহেতু মাজহাব মানার বিষয়টি ও ধর্মীয় প্রয়োজনে উলামাদের সর্বসম্মত সম্মতি তথা ইজমার মাধ্যমে আমরা পেয়েছি তাই এটা মেনে নিলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
আল্লাহ তাআলা আমাদের কে হক জিনিস গ্রহন করার তাওফিক দান করেন ।
মাসসালাম- মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফি
প্রচারে- www.jirubd.com
No comments:
Post a Comment