আজকাল ‘নারী খৎনা’ নামক একটা টার্ম নিয়ে হিন্দুরা খুব লাফালাফি করে, আবার অনেকে আইএস’র উদাহরণ নিয়ে আসে। আসলে নারী খৎনা নিয়ে ইসলামে কি হুকুম তা জানার দরকার আছে।
নারী খতনা হানাফি মাহযাব মতে জায়িজ নেই (বিশ্বের অধিকাংশ মুসলমান হানাফি মাহযাব অনুসারী)। ফতোয়ায়ে শামী কিতাবে বলা হয়েছে, কোরআন-হাদীসে খতনাহ সম্পর্কিত যত কথা আছে তাহা কেবল পুরুষদের জন্য প্রযোজ্য । তবে শাফেয়ী মাহযাব মতে নারী খৎনা করা যায়, তবে সেটা সবার জন্য নয়, মাজুর বা অসুস্থ নারীদের জন্য। এখানে মনে রাখতে হবে, অনেক মহিলা সন্তান হওয়ার সময় সিজার অপরেশন করে, এতে ঐ মহিলার অনেক কষ্ট হয়, কিন্তু মাজুরতা বা অসুস্থতার জন্য তাকে ঐ কাজটি বাধ্যই হয়ে করতে হয়। তেমনি ঐ সময়, ঐ এলাকার অনেক মহিলারা বিশেষ রোগে ভুগতো, যার কারণে ঐ সময় নারী খৎনার বিশেষ প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এবং প্রয়োজন অনুসারে মাজুর মহিলাদের জন্য এ কাজটি অনুমোদন করা হয়। অবশ্য, শাফেয়ী মাহযাবের নারী খৎনার অনুমোদন এটাই প্রমাণ করে ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনবিধান। কারণ নারীদের ঐ বিশেষ শারীরিক সমস্যা সমাধান একমাত্র ইসলাম-ই দিতে পেরেছিলো, যা অন্য ধর্ম দিতে পারেনি।
পাশাপাশি হিন্দুদের মনে রাখা উচিত, মুসলমানদের মধ্যে পুরুষদের খৎনা বাধ্যতামূলক, ইসলাম যে পরিপূর্ণ জীবন বিধান এটাই তার প্রমাণ। এবং বর্তমান মেডিকেল সাইন্সও পুরুষ খৎনার গুরুত্ব স্বীকার করেছে। অথচ হিন্দু ধর্মে কিন্তু পুরুষ খৎনার কথা নেই। যার কারণে অনেক হিন্দুকেই দেখেছি, রোগাক্রান্ত হয়ে ডাক্তারের কাছে যায়, আর ডাক্তার তাদের মুসলমানি করতে বলেন। তারাও হাসপাতাল কিংবা হাযামের কাছে মুসলমানি সেরে আসেন। তখন তো হিন্দুরা পুরুষ খৎনা নিয়ে চিৎকার করে না, কেন তাদের পুরুষদের মুসলমানি করে দেয়া হলো।
আমার মনে হয়, হিন্দুদের উচিত তার পুরুষদের মুসলমানি তথা খৎনা বাধ্যতামূলক করা। কারণ তারা দীর্ঘদিন যাবত কথিত ‘লাভ জিহাদ’ বন্ধ করতে চিৎকার করে যাচ্ছে, অথচ উক্ত লাভ জিহাদের পেছনে মূল রহস্য কিন্তু মুসলিম পুরুষদের খৎনা এবং হিন্দু পুরুষদের না-খৎনা করা।
তাই সকল হিন্দুদের প্রতি আহবান, “লাভ জিহাদ বিরোধী ক্যাম্পেইন বাদ দিয়ে, সবাই মিলে মুসলমানি করে ফেলো, দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে”।
[অনেকেই প্রশ্ন করেছেন নারী খৎনা কি ??
উত্তর: নারী খৎনা হচ্ছে এক প্রকার অপরেশন। সকল নারীদের দরকার হয় না, কিছু কিছু মহিলা এক প্রকার সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাদের জন্য দরকার হয়। বিশেষ করে আফ্রিকা বা মিশরে এ সমস্যাটা বেশি দেখা যায়। মহিলাদের লজ্জাস্থানের কয়েক ধাপে পর্দা বা গোশত থাকে। অনেক মহিলার অস্বাভাবিকভাবে গোশত বৃদ্ধি পেয়ে এক ধাপের গোশত আরেক ধাপের উপর উঠে যায়, এক্ষেত্রে ঐ মহিলা শারীরিক মিলনে অক্ষম হয়ে পড়ে। এটা এক ধরনের রোগও বলতে পারেন, যেমন অনেকের নাকের গোশত বেড়ে যায়, তখন গোশত কাটতে হয়, ঠিক তেমন। এ অসুখ হলে ছোট এক অস্ত্রপোচার করে ছিদ্র করে দিতে হয়, যেন ঐ মহিলা স্বাভাবিক জীবন ধারণে সক্ষম হয়। আমাদের এলাকার মহিলাদের এ অসুখ হয় না দেখে আমরা বিষয় জানি না, তবে আফ্রিকায় এটা খুব কমন একটা রোগ। তবে ইসলামী আইন হচ্ছে, যার এ রোগ নেই তার অযথাই গোশত কাটা যাবে না। এ বিষয়টাই প্রমাণ করে, ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান, তাই মহিলাদের এ ধরনের রোগের সমাধান দিয়েছে। কারণ নারী খৎনা না করলে তো ঐ মহিলা স্বাভাবিক জীবনযাপনই করতে পারবে না। কিন্তু কাফিররা এটা নিয়ে মূর্খের মত অপপ্রচার করে থাকে। ]
(সংগৃহীত)
No comments:
Post a Comment