প্রশ্ন: ব্যাংকের সাহায্য ছাড়া
গাড়ি
কিংবা
বাড়ি
ক্রয়
করার
সামর্থ
আমার
নেই।
এমতাবস্থায় আমি
সুদ
থেকে
কিভাবে
বাঁচতে
পারি?
উত্তর: আপনারা যদি চান, যুগের সাথে এগুতে পারেন, পৃথিবী যে পথে চলছে সে পথ ধরে চলতে পারেন। আমি আমার পথ বলে দিচ্ছি।
আমি ৫টি বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়া-লেখা করেছি। আমি আমার দেশ ট্রিনিড্যাড এর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র বিষয়ক কর্মকর্তা এবং কূটনীতিক ছিলাম। সেই পদ আমি স্বেচ্চায় ছেড়ে দিয়েছিলাম। অনেক পাকিস্তানী আমাকে আহাম্মকের খেতাব দিয়েছিলো। শুধুমাত্র বোকারাই পারে মোল্লাহ হওয়ার জন্য ডিপ্লোমাট এর চাকুরী ছেড়ে দিতে। কিন্তু তখন যদি আমি চাকুরী ছাড়ার সিদ্ধান্ত না নিতাম, তাহলে আজ আপনাদের সামনে দ্বীনের দাওয়াত দিতে পারতাম না। তাই অনেক কিছু আছে যা টাকা দিয়ে কেনা যায় না।
উত্তর: আপনারা যদি চান, যুগের সাথে এগুতে পারেন, পৃথিবী যে পথে চলছে সে পথ ধরে চলতে পারেন। আমি আমার পথ বলে দিচ্ছি।
আমি ৫টি বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়া-লেখা করেছি। আমি আমার দেশ ট্রিনিড্যাড এর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র বিষয়ক কর্মকর্তা এবং কূটনীতিক ছিলাম। সেই পদ আমি স্বেচ্চায় ছেড়ে দিয়েছিলাম। অনেক পাকিস্তানী আমাকে আহাম্মকের খেতাব দিয়েছিলো। শুধুমাত্র বোকারাই পারে মোল্লাহ হওয়ার জন্য ডিপ্লোমাট এর চাকুরী ছেড়ে দিতে। কিন্তু তখন যদি আমি চাকুরী ছাড়ার সিদ্ধান্ত না নিতাম, তাহলে আজ আপনাদের সামনে দ্বীনের দাওয়াত দিতে পারতাম না। তাই অনেক কিছু আছে যা টাকা দিয়ে কেনা যায় না।
আমার বয়স
এখন
সত্তরের ওপর।
আমি
কখনও
নিজের
জন্য
বাড়ী
কিনতে
পারিনি। ২০০৫
সালে
প্রথমবারের মতো
এক
বেডরুম
দিয়ে
আমার
বাড়ির
প্রথম
তলা
নির্মাণ করতে
পেরেছিলাম। আর
ট্রিনিড্যাড থেকে
আসার
আগে
২০১১
সালে
আরো
দু'টি বেডরুম দিয়ে
দ্বিতীয় তলা
সম্পন্ন করতে
পেরেছিলাম।
আর এভাবেই অতীতে বাড়ী নির্মাণ হতো। আমি কখনও ব্যাংক থেকে লোন এনে বাড়ী নির্মাণ করতে যাইনি। আমি এর আগে বাসা বাড়া করে থাকতাম।
আর এভাবেই অতীতে বাড়ী নির্মাণ হতো। আমি কখনও ব্যাংক থেকে লোন এনে বাড়ী নির্মাণ করতে যাইনি। আমি এর আগে বাসা বাড়া করে থাকতাম।
আমি ১০
বছর
আমেরিকার নিও
ইয়র্কে
ছিলাম।
একটি
ছোট্ট
এপার্টম্যান্ট ভাড়া
করে
থাকতাম। হালাল
রোজগার
করে
এর
চেয়ে
ভালো
এপার্টমেন্টে থাকার
আমার
সামর্থ
ছিলো
না।
আর
আমি
এভাবে
কষ্ট
করে
থেকেছি
যাতে
আমি
আমার
ধর্মের
সাথে
প্রতারনা না
করি।
যে গাড়ি
আমি
ড্রাইভ
করতাম
তার
দাম
ছিলো
মাত্র
৫০০
ডলার।
১২
বছর
আমেরিকায় থাকার
পর
স্বেচ্চায় আমি
২০০১
সালে
হিজরত
করি।
সুতরাং ইচ্ছে
করলে
আপনি
পারবেন
পৃথিবীর পথে
এগুতে,
আপনি
খুব
বড়
চাকুরী
চান,
আপনি
বড়
বাড়ি
চান,
দামি
গাড়ি
চান,
তাহলে
যান
ব্যাংক
থেকে
লোন
এনে
সুদ
দিতে
থাকেন।
আর
যখন
আপনি
জাহান্নামের আগুনে
পুড়বেন,
দয়া
করে
আমাকে
ফোন
করবেন
না।
জাহান্নাম থেকে
আমাকে
কোন
ই-মেইল করবেন না।
আর যদি
চান,
আপনি
বিপরীত
দিকে
হাটতে
পারেন।
বিপরীত
দিকটি
হচ্ছে;
আমাকে
যদি
বড়
বাড়ির
স্বপ্ন
ত্যাগ
করতে
হয়,
গাড়ির
আশা
ছাড়তে
হয়,
চাকুরীও ছেড়ে
দিতে
হয়,
বাসস্থান ত্যাগ
করতে
হয়,
শহর
ছেড়ে
দিয়ে
যদি
শেষ
পর্যন্ত গুহার
ভেতর
গিয়েও
আশ্রয়
নিতে
হয়,
আমি
তাও
করতে
রাজি,
তবুও
আমি
কোন
হারাম
কাজ
করবো
না,
কারন
আমি
আমার
ইসলামকে ত্যাগ
করতে
পারবো
না।
-আল্লামা ইমরান নযর হোসেন
১৬ রমাদ্বান ১৪৩২ হিজরী / ১৬ আগষ্ট ২০১১
মালেশিয়ায় ধারনকৃত 'মোহময় পৃথিবীতে মুসলিম যুব সমাজ' লেকচার থেকে নেয়া।
অনুবাদ: দ্বীনুজ্জামান চৌধুরী
১৬ রমাদ্বান ১৪৩২ হিজরী / ১৬ আগষ্ট ২০১১
মালেশিয়ায় ধারনকৃত 'মোহময় পৃথিবীতে মুসলিম যুব সমাজ' লেকচার থেকে নেয়া।
অনুবাদ: দ্বীনুজ্জামান চৌধুরী
No comments:
Post a Comment