দাজ্জাল কানা
নাকি
আমরা
কানা ?
দাজ্জালের বাম ও ডান চোখ এবং কপালে কাফের শব্দের রূপকার্থ
________________________________________________
প্রাথমিক ভাবে দাজ্জালকে উপস্থাপন করার পর, আমরা এখন দাজ্জাল এবং তার প্রতীকি বা সংকেত সম্পর্কে আলোচনা করি। দাজ্জাল যে বিশ্ব শাসন করার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে, তার সেই কৌশল সম্পর্কে জানতে হলে, এই হাদীস সম্পর্কে জানতে হবে।
দাজ্জালের বাম ও ডান চোখ এবং কপালে কাফের শব্দের রূপকার্থ
________________________________________________
প্রাথমিক ভাবে দাজ্জালকে উপস্থাপন করার পর, আমরা এখন দাজ্জাল এবং তার প্রতীকি বা সংকেত সম্পর্কে আলোচনা করি। দাজ্জাল যে বিশ্ব শাসন করার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে, তার সেই কৌশল সম্পর্কে জানতে হলে, এই হাদীস সম্পর্কে জানতে হবে।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
বলেছেন,
“প্রত্যেক নবী তাদের উম্মতদের দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। হযরত নূহ (আঃ)-ও তাঁর উম্মতদের দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। কিন্তু আমি এমন কিছু বলবো যার সম্পর্কে এর আগে কেউ বলেননি। দাজ্জাল তার বাম চোখ দিয়ে দেখে। তার ডান চোখ অন্ধ, দেখতে ফোলা আঙ্গুরের মতো মনে হবে। তবে তোমাদের প্রভু এক চোখা নন।
তার দু’চোখের মাঝখানে, কপালে লেখা থাকবে ‘কাফের’ (অবিশ্বাসী)। প্রত্যেক মুমিন এই ‘কাফের’ শব্দ পড়তে পারবে; এই মুমিন শিক্ষিত হোক বা অশিক্ষিত হোক”।
(সহীহ্ মুসলিম)
“প্রত্যেক নবী তাদের উম্মতদের দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। হযরত নূহ (আঃ)-ও তাঁর উম্মতদের দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। কিন্তু আমি এমন কিছু বলবো যার সম্পর্কে এর আগে কেউ বলেননি। দাজ্জাল তার বাম চোখ দিয়ে দেখে। তার ডান চোখ অন্ধ, দেখতে ফোলা আঙ্গুরের মতো মনে হবে। তবে তোমাদের প্রভু এক চোখা নন।
তার দু’চোখের মাঝখানে, কপালে লেখা থাকবে ‘কাফের’ (অবিশ্বাসী)। প্রত্যেক মুমিন এই ‘কাফের’ শব্দ পড়তে পারবে; এই মুমিন শিক্ষিত হোক বা অশিক্ষিত হোক”।
(সহীহ্ মুসলিম)
এই মুমিন
লেখা-পড়া জানুক বা
নাই
জানুক,
তবু
সে
‘কাফের’
শব্দটি
পড়তে
পারবে।
আমরা
এই
হাদীসের রূপকার্থ সম্পর্কে অনেকবার ব্যাখ্যা দিয়েছি। যেহেতু
অনেকেই
এ
সম্পর্কে এখনও
সরাসরি
আমার
কাছ
থেকে
শুনেনি,
তারা
কেবল
ইউটিউব
এর
মাধ্যমে আমার
লেকচার
দেখেছেন। আমাকে
আবারও
এই
হাদীসের ব্যাখ্যা দিতে
হবে।
শুধু একজন
মুমিন
(ধরে
নেয়া
যাক)
হযরত
আলী
(রাঃ)
এই
‘কাফের’
শব্দটি
পড়তে
পারবেন
কেন?
এবং
(ধরে
নেয়া
যাক)
আবু
জেহেল
‘কাফের’
শব্দটি
পড়তে
পারবে
না।
আবু
জেহেলের চোখে
কি
কোন
সমস্যা
রয়েছে
যার
কারনে
সে
‘কাফের’
পড়তে
পারছে
না?
আমরা
তাকে
চোখ
বিশেষজ্ঞের কাছে
পাঠিয়ে
দেই।
তার
চোখ
পরীক্ষা করে
চোখের
ডাক্তার রিপোর্ট দিলেন
যে,
তার
দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক। কিন্তু
তার
দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক হয়ে
থাকলে
কেন
সে
দেখতে
পায়
না?
কেন
হযরত
আলী
(রাঃ)
দেখতে
পান,
অথচ
আবু
জেহেল
দেখতে
পায়
না?
এর
কারন
কি
হযরত
আলী
(রাঃ)
বাইরের
চোখ
দিয়ে
দেখছেন
না?
আমাদের
কি
বাইরের
চোখ
ছাড়াও
অন্য
চোখ
রয়েছে?
আধুনিক
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বলবে,
‘এসব
একদম
বাজে
কথা’। অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ, হার্ভাড, স্ট্যানফোর্ড এর
মতো
বিশ্ববিদ্যালয় গুলো
বলবে,
‘এসব
বাজে
কথা,
বাইরের
চোখ
দু’টিই আমাদের একমাত্র চোখ।
এগুলিই
একমাত্র চোখ
যার
মাধ্যমে আমরা
বাহ্যিক দৃষ্টির জ্ঞান
লাভ
করতে
পারি।
এই
দু’চোখ ছাড়া আমাদের
অন্যকোন চোখ
নেই।
তাই
এই
পথ
ধরে
জ্ঞান
অর্জন
ছাড়া
অন্য
কোন
উপায়
নেই’। জ্ঞানের এই
বিভাগকে বলা
হয়
'এপিস্টিমলোজি'।
লম্বা
শব্দ
শোনে
আপনারা
ভয়
পাবেন
না।
আর
এটা
হচ্ছে
পাশ্চাত্যের 'এপিস্টিমলোজি', বাইরের
চোখই
একমাত্র চোখ।
কিন্তু কোর’আন বলে, বাইরের
দু’চোখ ছাড়াও, অন্তর
ও
দেখতে
পায়।
অতএব
কোর’আন এর রয়েছে
ভিন্ন
'এপিস্টিমলোজি'।
অন্তর
দেখতে
পায়।
কিন্তু
অন্তর
তখনই
দেখতে
পায়
যখন
আল্লাহ্ অন্তরে
নূর
ঢেলে
দেন।
এবং
এ
সম্পর্কে আগেও
বলেছি
যে,
স্টক
মার্কেট থেকে
নূর
কেনা
যায়
না।
“আল্লাহ্ তাকেই নূর দিয়ে পথ প্রদর্শন করেন যাকে তিনি পছন্দ করেন।”
“আল্লাহ্ তাকেই নূর দিয়ে পথ প্রদর্শন করেন যাকে তিনি পছন্দ করেন।”
আল্লাহ্ যখন
অন্তরে
নূর
ঢেলে
দেন,
অন্তর
তখন
দেখতে
পায়।
আর
যখন
অন্তরে
নূর
থাকে
না,
কোর’আন এ সম্পর্কে কি
বলে
শুনুন,
বেশ
কঠিন
ভাষা
ব্যবহার করা
হয়েছে।
আল্লাহ্ বলেন,
“তাদের চোখ আছে, কিন্তু তারা দেখতে পায় না। তাদের কান আছে, কিন্তু তারা শোনতে পারে না। তাদের অন্তর আছে, কিন্তু তারা বুঝতে পারে না। তারা হচ্ছে গবাদি পশুর মতো, বরং তারা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট” [সূরা বাকারাহ]
এটা কঠিন ভাষা। “বরং তারা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট”। যারা চোখ থাকতেও অন্ধ, তারা পশুর চেয়েও পথভ্রষ্ট। তাই এখন অন্তত আমি এই সিদ্ধান্তে পৌছতে পারবো আর আপনাদের ভেবে-চিন্তে দেখতে হবে কোন্ সিদ্ধান্তে পৌছতে পারেন,
যখন দাজ্জাল তার বাম চোখ দিয়ে দেখে, সে বাহ্যিক দৃষ্টি থেকে দেখছে। আর দাজ্জাল যখন ডান চোখ থেকে অন্ধ, অন্ধ ডান চোখটি রূপকার্থে অভ্যন্তরিন অন্ধত্ব। এটাই আমার ব্যাখ্যা। আপনাদের তা গ্রহণ করতে হবে না। গ্রহণ করার পূর্বে আপনারা আস্বস্ত হতে হবে যে, আসলেই এটা সঠিক কিনা। তাই আপনাদের আরেকবার সতর্ক করে দিলাম।
“তাদের চোখ আছে, কিন্তু তারা দেখতে পায় না। তাদের কান আছে, কিন্তু তারা শোনতে পারে না। তাদের অন্তর আছে, কিন্তু তারা বুঝতে পারে না। তারা হচ্ছে গবাদি পশুর মতো, বরং তারা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট” [সূরা বাকারাহ]
এটা কঠিন ভাষা। “বরং তারা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট”। যারা চোখ থাকতেও অন্ধ, তারা পশুর চেয়েও পথভ্রষ্ট। তাই এখন অন্তত আমি এই সিদ্ধান্তে পৌছতে পারবো আর আপনাদের ভেবে-চিন্তে দেখতে হবে কোন্ সিদ্ধান্তে পৌছতে পারেন,
যখন দাজ্জাল তার বাম চোখ দিয়ে দেখে, সে বাহ্যিক দৃষ্টি থেকে দেখছে। আর দাজ্জাল যখন ডান চোখ থেকে অন্ধ, অন্ধ ডান চোখটি রূপকার্থে অভ্যন্তরিন অন্ধত্ব। এটাই আমার ব্যাখ্যা। আপনাদের তা গ্রহণ করতে হবে না। গ্রহণ করার পূর্বে আপনারা আস্বস্ত হতে হবে যে, আসলেই এটা সঠিক কিনা। তাই আপনাদের আরেকবার সতর্ক করে দিলাম।
এখন আমরা
মুখোমুখি হয়েছি
দাজ্জালের রূপক
বা
প্রতিকীর এক
জগতে।
যারা
দাজ্জালকে অনুসরণ
করবে,
তারা
হবে
ভেতরের
দিক
থেকে
অন্ধ।
পৃথিবী
জুড়ে
আজ
অনেক
গবাদি
পশু,
এটুকু
বলতে
পারি।
আর
আজকের
লেকচার
থেকে
কিছু
প্রমাণও আপনারা
পাবেন।
দাজ্জালের বাম
চোখ
বলতে,
এপিস্টামলোজি বোঝায়।
তার
বাম
চোখ
হচ্ছে
বাইরের
চোখ।
তার
অন্ধ
ডান
চোখ
হচ্ছে,
ভেতরের
অন্ধত্ব। যারা
চোখ
দিয়ে
দেখতে
পারে
কারন
তাদের
অন্তরে
নূর
রয়েছে,
তারা
দাজ্জালের কপালে
‘কাফের’
লেখাকে
চিনতে
পারবে।
যখন দাজ্জাল জেরুজালেম থেকে
মানুষের আকৃতিতে ২০
থেকে
৩০
বছর
পর
উপস্থিত হবে,
এবং
ঘোষণা
দেবে
যে
‘আমি
সেই
মসীহা’,
আপনারা
যদি
তার
কাছে
যান,
তার
কপালে
কি
‘কাফের’
লেখা
দেখতে
পারবেন?
না
পারবেন
না।
তাই
যারা
প্রটেস্টান্ট ইসলামকে অনুসরণ
করেন,
তারা
সবকিছুর আক্ষরিক অর্থকেই মেনে
নেন,
তারা
হয়তো
দাজ্জালের খুব
কাছে
গিয়ে
তার
কপালে
টর্চ
লাইটের
আলো
দিয়ে
চেক
করবে
সেখানে
কোন
ধুলো
আছে
কিনা,
তার
কপাল
মুছে
বলবে,
“না
আমরা
তো
কোন
‘কাফের’
লেখা
দেখতে
পাচ্ছি
না।
তুমি
দাজ্জাল হতে
পারো
না।
আর
তুমি
দাজ্জাল নও,
কারণ
তোমার
দু’চোখ রয়েছে”।
আমি
বা
আপনারা
কেউই
প্রটেস্টান্ট ইসলামকে উপহাস
করার
জন্য
হাসছি
না।
আমরা
শুধু
তাদের
বার
বার
একই
কথা
বলার
চেষ্টা
করছি,
তাদেরকে জাগিয়ে
তোলার
চেষ্টা
করছি
যে,
আপনাদের তরিকা
ভুল,
আপনাদের ভ্রান্ত ধারনা।
এই ‘কাফের’
লেখাটি
আক্ষরিক নয়
বরং
এটা
হচ্ছে
প্রতিকী। এটা
হচ্ছে
দাজ্জাল যা
কিছু
সৃষ্টি
করে,
একজন
মুমিনকে তা
পর্যবেক্ষণ করতে
হবে।
উদাহরণ
সরূপ,
সে
সৃষ্টি
করেছে
একটি
সভ্যতা,
যার
নাম
হচ্ছে,
আধুনিক
পশ্চিমা সভ্যতা। এবং
একজন
মুমিন
এই
আধুনিক
পশ্চিমা সভ্যতা
দেখে
চিনতে
পারবে
যে,
এই
সভ্যতার ভিত্তি
হচ্ছে
‘কুফর্’,
ঠিক
যেভাবে
কাফের
লেখা
থাকার
কথা
তার
কপালে।
-আল্লামা ইমরান নযর হোসেন
অনুবাদ: দ্বীনুজ্জামান চৌধুরী
অনুবাদ: দ্বীনুজ্জামান চৌধুরী
দাজ্জালের মুক্তি
ও
খুরুজ
(বেরিয়ে
আসা/আবির্ভাব) এবং তার বর্তমান অবস্থান
_______________________________________
এখন আমি দাজ্জাল সংক্রান্ত দুটি বিষয়কে পৃথক করতে চাই। একটি হচ্ছে তার মুক্তি, আর আরেকটি হচ্ছে তার খুরুজ (বেরিয়ে আসা/আবির্ভাব)।
_______________________________________
এখন আমি দাজ্জাল সংক্রান্ত দুটি বিষয়কে পৃথক করতে চাই। একটি হচ্ছে তার মুক্তি, আর আরেকটি হচ্ছে তার খুরুজ (বেরিয়ে আসা/আবির্ভাব)।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
তখন
মদীনায়
ছিলেন।
তামিমুদ্দারী তাঁর
কাছে
একটি
ঘটনার
বর্ণনা
দিলেন।
এবং
মহানবী
(সাঃ)
সাহাবাদের কাছে
ঘটনাটি
বর্ণনা
করলেন,
অতএব
ঘটনাটি
সম্পর্কে সরাসরি
মহানবী
(সাঃ)
এর
মুখ
থেকেই
সবাই
জানতে
পারলেন।
আমি যখন এই ঘটনা নিয়ে গবেষণা করি, তখন একটি সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছি, এবং এটা আমার নিজস্ব অভিমত। এবং আপনাদেরকে একটি ব্যাপারে সতর্ক করতে চাই। আমার অভিমতকে আপনারা কখনও গ্রহণ করবেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনারা আস্বস্ত হয়েছেন যে, অভিমতটি সঠিক। আমার অভিমত গ্রহণ করার পূর্বে, আপনারা আপনাদের নিজস্ব যৌক্তিক ক্ষমতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং নিজেরাই এ বিষয় নিয়ে অনুসন্ধান করুন।
আমার অভিমত হচ্ছে, এটা সত্যিকারের ঘটনা ছিলো না, বরং এটা ছিলো একটা স্বপ্ন বা দৃষ্টি। আমি কেন তা মনে করি, তা নিয়ে প্রশ্ন ও উত্তর পর্বে এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে পারবো।
তামিমুদ্দারী বললেন, তাঁর সহচরদের নিয়ে তিনি একটি জাহাজে ছিলেন, তাদের জাহাজটি (৩০ দিন পর্যন্ত) সমুদ্রের ঢেউ এর বাড়ি খেতে খেতে একটি দ্বীপে এসে পৌঁছলো। তারা একটা ছোট ডিঙ্গিতে উঠে ঐ দ্বীপে গিয়ে অবতরণ করলো এবং একটি কেশাবৃন্ত জন্তুর মুখোমুখি হলো। এই জন্তুর এতো ঘন লম্বা চুল যে তারা চেহারা ও পশ্চাদভাগ সনাক্ত করতে পারছিলেন না। জন্তুটি বললো, ‘আমি হচ্ছি জাস্সাসাহ্’ (গুপ্তচর)।
অতএব এটা ছিলো একটা দ্বীপ, আরব বিশ্ব থেকে তখনকার জাহাজে যেতে এক মাস লেগেছিলো। এটা হচ্ছে এমন একটি দ্বীপ, যে দ্বীপটি গুয়েন্দাগিরিতে পারদর্শী। আমার মনে হয় না, সিঙ্গাপুরে (গুয়েন্দাগিরিতে) উত্তীর্ণ হয়েছে। তারপর জাস্সাসাহ্ তাদেরকে বললো, ‘ঐ (ভাঙা) গির্জায় একজন ব্যক্তি, তার কাছে যাও, কেননা সে তোমাদের ব্যাপারে জানতে খুবই আগ্রহী’ । ভাঙা গির্জা অর্থাৎ ঐ খৃষ্টান দ্বীপ এক সময় ধর্মনিরপেক্ষ ও নাস্তিকদের দ্বীপে পরিণত হবে। তখন তারা দ্রুত পায়ে ভাঙা গির্জার দিকে এগিয়ে গেলেন। সেখানে একজন সুঠাম দেহী ব্যক্তিকে তার গলার সঙ্গে হাত বাঁধা অবস্থায় এবং পায়ে বেড়ি পরা অবস্থায় দেখতে পেলেন। এবং ঐ ব্যক্তিটি তাদের অনেকগুলো প্রশ্ন করলো। তারপর সে বললো, ‘আমি হচ্ছি দাজ্জাল, আমি যখন মুক্তি পাবো, আমি প্রতিটি নগর এবং মহানগরে প্রবেশ করবো।‘ সে নগর এবং মহানগরে প্রবেশ করার কথা বললেও গ্রামের কথা উল্লেখ করেনি।
সুতরাং তখন পর্যন্ত দাজ্জাল বন্দী ছিলো, এটা হয়তো ২য় অথবা ৩য় হিজরী সাল হবে। অর্থাৎ তখনও দাজ্জাল মুক্তি পায়নি।
আমি যখন এই ঘটনা নিয়ে গবেষণা করি, তখন একটি সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছি, এবং এটা আমার নিজস্ব অভিমত। এবং আপনাদেরকে একটি ব্যাপারে সতর্ক করতে চাই। আমার অভিমতকে আপনারা কখনও গ্রহণ করবেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনারা আস্বস্ত হয়েছেন যে, অভিমতটি সঠিক। আমার অভিমত গ্রহণ করার পূর্বে, আপনারা আপনাদের নিজস্ব যৌক্তিক ক্ষমতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং নিজেরাই এ বিষয় নিয়ে অনুসন্ধান করুন।
আমার অভিমত হচ্ছে, এটা সত্যিকারের ঘটনা ছিলো না, বরং এটা ছিলো একটা স্বপ্ন বা দৃষ্টি। আমি কেন তা মনে করি, তা নিয়ে প্রশ্ন ও উত্তর পর্বে এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে পারবো।
তামিমুদ্দারী বললেন, তাঁর সহচরদের নিয়ে তিনি একটি জাহাজে ছিলেন, তাদের জাহাজটি (৩০ দিন পর্যন্ত) সমুদ্রের ঢেউ এর বাড়ি খেতে খেতে একটি দ্বীপে এসে পৌঁছলো। তারা একটা ছোট ডিঙ্গিতে উঠে ঐ দ্বীপে গিয়ে অবতরণ করলো এবং একটি কেশাবৃন্ত জন্তুর মুখোমুখি হলো। এই জন্তুর এতো ঘন লম্বা চুল যে তারা চেহারা ও পশ্চাদভাগ সনাক্ত করতে পারছিলেন না। জন্তুটি বললো, ‘আমি হচ্ছি জাস্সাসাহ্’ (গুপ্তচর)।
অতএব এটা ছিলো একটা দ্বীপ, আরব বিশ্ব থেকে তখনকার জাহাজে যেতে এক মাস লেগেছিলো। এটা হচ্ছে এমন একটি দ্বীপ, যে দ্বীপটি গুয়েন্দাগিরিতে পারদর্শী। আমার মনে হয় না, সিঙ্গাপুরে (গুয়েন্দাগিরিতে) উত্তীর্ণ হয়েছে। তারপর জাস্সাসাহ্ তাদেরকে বললো, ‘ঐ (ভাঙা) গির্জায় একজন ব্যক্তি, তার কাছে যাও, কেননা সে তোমাদের ব্যাপারে জানতে খুবই আগ্রহী’ । ভাঙা গির্জা অর্থাৎ ঐ খৃষ্টান দ্বীপ এক সময় ধর্মনিরপেক্ষ ও নাস্তিকদের দ্বীপে পরিণত হবে। তখন তারা দ্রুত পায়ে ভাঙা গির্জার দিকে এগিয়ে গেলেন। সেখানে একজন সুঠাম দেহী ব্যক্তিকে তার গলার সঙ্গে হাত বাঁধা অবস্থায় এবং পায়ে বেড়ি পরা অবস্থায় দেখতে পেলেন। এবং ঐ ব্যক্তিটি তাদের অনেকগুলো প্রশ্ন করলো। তারপর সে বললো, ‘আমি হচ্ছি দাজ্জাল, আমি যখন মুক্তি পাবো, আমি প্রতিটি নগর এবং মহানগরে প্রবেশ করবো।‘ সে নগর এবং মহানগরে প্রবেশ করার কথা বললেও গ্রামের কথা উল্লেখ করেনি।
সুতরাং তখন পর্যন্ত দাজ্জাল বন্দী ছিলো, এটা হয়তো ২য় অথবা ৩য় হিজরী সাল হবে। অর্থাৎ তখনও দাজ্জাল মুক্তি পায়নি।
পরবর্তী কোন
এক
সময়,
রাসূল
(সাঃ)
একটা
ইহুদী
ছেলেকে
দাজ্জাল হিসেবে
সন্দেহ
করেছিলেন, কারণ
দাজ্জাল একজন
ইহুদী
তরুন
হবে।
রাসূল
(সাঃ)
ঐ
ছেলেকে
কিছু
প্রশ্ন
করেছিলেন এবং
ছেলেটি
বেয়াদবের মতো
উত্তর
দিয়েছিলো। হযরত
ওমর
(রাঃ)
তখন
বেশ
রেগে
গিয়েছিলেন। তিনি
বলেছিলেন, ‘ হে
আল্লাহ্’র
রাসূল
(সাঃ),
আমাকে
অনুমতি
দিন,
আমি
তার
মাথা
কেটে
ফেলবো’। রাসূল (সাঃ)
বললেন,
‘না
ওমর।
সে
যদি
দাজ্জাল হয়ে
থাকে,
তুমি
তাকে
মারতে
পারবে
না...’।
খুব খেয়াল
দিয়ে
শুনুন,
কথাগুলো ইঙ্গিত
দিচ্ছে
যে,
ছেলেটি
দাজ্জাল হতে
পারে।
আমি
আবার
বলছি,
‘সে
যদি
দাজ্জাল হয়ে
থাকে
তুমি
তাকে
মারতে
পারবে
না’,
এই
কথাগুলো ইঙ্গিত
দিচ্ছে,
ছেলেটি
দাজ্জাল হতে
পারে।
তবে
এই
সম্ভাবনা তখনই
থেকে
যায়
যদি
দাজ্জাল আসলেই
মুক্তি
পেয়ে
থাকে।
এই
ঘটনা
থেকে
এটাই
প্রতিয়মান হয়
যে,
আমাদেরকে পরোক্ষভাবে দাজ্জালের মুক্ত
হওয়ার
ইঙ্গিত
দেয়া
হচ্ছে।
রাসূল
(সাঃ)
বললেন,
‘...সে যদি দাজ্জাল না হয়ে থাকে তাহলে তাকে হত্যা করা পাপ হবে’।
সুতরাং আমরা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, দাজ্জালের মুক্তি রাসূল (সাঃ) এর জীবনকালে হয়েছিলো। তবে দাজ্জালের খুরুজ (বেরিয়ে আসা/আবির্ভাব) অন্যরকম। এর ব্যাখ্যার জন্য আমাকে অন্য একটি হাদীসের কথা উল্লেখ করতে হবে যেখানে প্রতীকি বা রূপক অর্থ রয়েছে।
‘...সে যদি দাজ্জাল না হয়ে থাকে তাহলে তাকে হত্যা করা পাপ হবে’।
সুতরাং আমরা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, দাজ্জালের মুক্তি রাসূল (সাঃ) এর জীবনকালে হয়েছিলো। তবে দাজ্জালের খুরুজ (বেরিয়ে আসা/আবির্ভাব) অন্যরকম। এর ব্যাখ্যার জন্য আমাকে অন্য একটি হাদীসের কথা উল্লেখ করতে হবে যেখানে প্রতীকি বা রূপক অর্থ রয়েছে।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
বলেছেন,
“যখন দাজ্জাল মুক্তি পাবে, সে পৃথিবীতে ৪০ দিন থাকবে। একদিন হবে এক বছরের মতো, একদিন হবে এক মাসের মতো, একদিন হবে এক সপ্তাহের মতো, আর (তার) বাকী সবদিনগুলি হবে তোমাদের দিনের মতো”।
(সহীহ মুসলিম এবং সুনান তিরমিযি)
“যখন দাজ্জাল মুক্তি পাবে, সে পৃথিবীতে ৪০ দিন থাকবে। একদিন হবে এক বছরের মতো, একদিন হবে এক মাসের মতো, একদিন হবে এক সপ্তাহের মতো, আর (তার) বাকী সবদিনগুলি হবে তোমাদের দিনের মতো”।
(সহীহ মুসলিম এবং সুনান তিরমিযি)
একদিন যে
এক
বছরের
মতো
বলা
হয়েছে,
তা
আমাদের
স্বাভাবিক দিনের
মতো
নয়,
এটা
বুঝতে
হলে
পাঁচ
পয়সার
জ্ঞানও
খরচ
করতে
হবে
না।
যখন দাজ্জালের বাকী সবদিনগুলি আমাদের দিনের মতো হবে, অর্থাৎ সে যখন আমাদের জগতের সময় ও স্থানের গন্ডির ভেতর ঢুকবে, কেবলমাত্র তখন আমরা তাকে স্বচক্ষে দেখতে পারবো। কিন্তু যখন সে অন্য একটি জগতের সময় ও স্থানের গন্ডির ভেতরে থাকবে, তখন কি তাকে দেখা সম্ভব? না, সম্ভব নয়।
এখানে কি কোন ফেরেশতা আছেন? হ্যাঁ, অবশ্যই (আমাদের কাঁধে ২ ফেরেশতা)। আমরা কি তাদের দেখতে পাচ্ছি? না, আমরা দেখতে পাচ্ছি না।
এখানে কি কোন জীন রয়েছে? হ্যাঁ, অবশ্যই।
তাদের কি আমরা দেখতে পাই? না, দেখতে পাই না।
সুতরাং তারা আমাদের সাথেই আছে, কিন্তু যেহেতু তারা আমাদের জগতের সময় ও স্থানের গন্ডির ভেতরে নয়, আমরা তাদের দেখতে পাই না।
জগতের সময় ও স্থান কয়টি রয়েছে? আমাদের সবার জানা, সাতটি সামাওয়াত রয়েছে। আপনারা নিশ্চই ছোটবেলায় পড়েছেন, সাবা সামাওয়াত, সাতটি ভিন্ন জগতের সময় ও স্থান।
অতএব দাজ্জাল অন্যান্য জগতের সময় ও স্থানের গন্ডির ভেতরে, অথচ এখানেই আছে। সে তার মিশনের প্রথম পর্ব (এক দিন এক বছরের মতো), দ্বিতীয় পর্ব (এক দিন এক মাসের মতো) এবং তৃতীয় (এক দিন এক সপ্তাহের মতো) পর্বের কাজ করে যাচ্ছে। সে যখন তার তৃতীয় পর্বের কাজ সম্পন্ন করবে, ‘এক দিন এক সপ্তাহের মতো’, শুধুমাত্র তখন সে আমাদের জগতের সময় ও স্থানের গন্ডির ভেতর প্রবেশ করতে সক্ষম হবে। যখন সে আমাদের জগতের সময় ও স্থানের গন্ডির ভেতর প্রবেশ করবে, সে মানুষের আকৃতিতে থাকবে। এবং যখন সে তার মিশনের শেষ পর্ব সম্পন্ন করতে যাবে, সেটাই হবে তার ‘খুরুজ’ (বেরিয়ে আসা/আবির্ভাব)।
যখন দাজ্জালের বাকী সবদিনগুলি আমাদের দিনের মতো হবে, অর্থাৎ সে যখন আমাদের জগতের সময় ও স্থানের গন্ডির ভেতর ঢুকবে, কেবলমাত্র তখন আমরা তাকে স্বচক্ষে দেখতে পারবো। কিন্তু যখন সে অন্য একটি জগতের সময় ও স্থানের গন্ডির ভেতরে থাকবে, তখন কি তাকে দেখা সম্ভব? না, সম্ভব নয়।
এখানে কি কোন ফেরেশতা আছেন? হ্যাঁ, অবশ্যই (আমাদের কাঁধে ২ ফেরেশতা)। আমরা কি তাদের দেখতে পাচ্ছি? না, আমরা দেখতে পাচ্ছি না।
এখানে কি কোন জীন রয়েছে? হ্যাঁ, অবশ্যই।
তাদের কি আমরা দেখতে পাই? না, দেখতে পাই না।
সুতরাং তারা আমাদের সাথেই আছে, কিন্তু যেহেতু তারা আমাদের জগতের সময় ও স্থানের গন্ডির ভেতরে নয়, আমরা তাদের দেখতে পাই না।
জগতের সময় ও স্থান কয়টি রয়েছে? আমাদের সবার জানা, সাতটি সামাওয়াত রয়েছে। আপনারা নিশ্চই ছোটবেলায় পড়েছেন, সাবা সামাওয়াত, সাতটি ভিন্ন জগতের সময় ও স্থান।
অতএব দাজ্জাল অন্যান্য জগতের সময় ও স্থানের গন্ডির ভেতরে, অথচ এখানেই আছে। সে তার মিশনের প্রথম পর্ব (এক দিন এক বছরের মতো), দ্বিতীয় পর্ব (এক দিন এক মাসের মতো) এবং তৃতীয় (এক দিন এক সপ্তাহের মতো) পর্বের কাজ করে যাচ্ছে। সে যখন তার তৃতীয় পর্বের কাজ সম্পন্ন করবে, ‘এক দিন এক সপ্তাহের মতো’, শুধুমাত্র তখন সে আমাদের জগতের সময় ও স্থানের গন্ডির ভেতর প্রবেশ করতে সক্ষম হবে। যখন সে আমাদের জগতের সময় ও স্থানের গন্ডির ভেতর প্রবেশ করবে, সে মানুষের আকৃতিতে থাকবে। এবং যখন সে তার মিশনের শেষ পর্ব সম্পন্ন করতে যাবে, সেটাই হবে তার ‘খুরুজ’ (বেরিয়ে আসা/আবির্ভাব)।
সুনান আবু
দাউদের
হাদীসে
উল্লেখ্য, হযরত
মুহাম্মদ (সাঃ)
বলেছেন,
যখন জেরুজালেম প্রাধান্য লাভ করবে (বর্তমান সময়ে যেমন বিশ্বের কেন্দ্রিয় ভূমিকায় রয়েছে), তখন ইয়াসরিব (মদীনা) তার গুরুত্ব হারিয়ে ফেলবে। (বর্তমান সময় যেরকম বিশ্বের ইসলামিক কোন বিষয়ে, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে কোন ভূমিকা পালন করছে না, এরকমই আজ মদীনার অবস্থা, যার জন্য দায়ী ওসমানীয় সাম্রাজ্য এবং বর্তমান সৌদি ওয়াহাবী সরকার),
যখন ইয়াসরিব (মদীনা) তার গুরুত্ব হারিয়ে ফেলবে, তখন মালহামা (মহাযুদ্ধ) শুরু হবে। যখন মালহামা (মহাযুদ্ধ) শুরু হবে, (মহাযুদ্ধ অর্থাৎ বিশ্ব যুদ্ধ। এবং তুলনা করতে গেলে প্রথম ও দ্বিতীয় যুদ্ধ এই মহাযুদ্ধের কাছে অতি নগন্য মনে হবে। এটা খুব শিঘ্রি আসছে। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে এটা অনেকগুলো যুদ্ধ দিয়ে শুরু হবে, যার সমাপ্তি হবে নিওক্লিয়ার বিশ্ব যুদ্ধের মাধ্যমে)।
সেই মহাযুদ্ধের পরে কনস্টানটিনোপল (বর্তমান তুর্কির রাজধানী ইস্তান্বুল) বিজিত হবে। (তারা চায়নি যে আমরা এই হাদীস সম্পর্কে অনুসন্ধান করি। তাই তারা কনস্টানটিনোপল নাম বদলে এর জায়গায় ইস্তান্বুল রেখেছিলো, যাতে আমরা এই হাদীস সম্পর্কে ভুলে যাই। কনস্টানটিনোপল এখনও বিজিত হয়নি। এবং এ সম্পর্কে আমার আরেকটি লেকচার রয়েছে ৪ জুলাই ২০১২ গোমবাক এর আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনশাআল্লাহ্, আপনারা আসতে ভুলবেন না) ।
কনস্টানটিনোপল বিজিত হওয়ার পরে (কেবলমাত্র তখন) দাজ্জাল সামনে আসবে (অর্থাৎ তার মিশন সম্পন্ন করতে সে মানুষের রূপে বেরিয়ে আসবে, এবং এটাই হচ্ছে খুরুজ)।
যখন জেরুজালেম প্রাধান্য লাভ করবে (বর্তমান সময়ে যেমন বিশ্বের কেন্দ্রিয় ভূমিকায় রয়েছে), তখন ইয়াসরিব (মদীনা) তার গুরুত্ব হারিয়ে ফেলবে। (বর্তমান সময় যেরকম বিশ্বের ইসলামিক কোন বিষয়ে, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে কোন ভূমিকা পালন করছে না, এরকমই আজ মদীনার অবস্থা, যার জন্য দায়ী ওসমানীয় সাম্রাজ্য এবং বর্তমান সৌদি ওয়াহাবী সরকার),
যখন ইয়াসরিব (মদীনা) তার গুরুত্ব হারিয়ে ফেলবে, তখন মালহামা (মহাযুদ্ধ) শুরু হবে। যখন মালহামা (মহাযুদ্ধ) শুরু হবে, (মহাযুদ্ধ অর্থাৎ বিশ্ব যুদ্ধ। এবং তুলনা করতে গেলে প্রথম ও দ্বিতীয় যুদ্ধ এই মহাযুদ্ধের কাছে অতি নগন্য মনে হবে। এটা খুব শিঘ্রি আসছে। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে এটা অনেকগুলো যুদ্ধ দিয়ে শুরু হবে, যার সমাপ্তি হবে নিওক্লিয়ার বিশ্ব যুদ্ধের মাধ্যমে)।
সেই মহাযুদ্ধের পরে কনস্টানটিনোপল (বর্তমান তুর্কির রাজধানী ইস্তান্বুল) বিজিত হবে। (তারা চায়নি যে আমরা এই হাদীস সম্পর্কে অনুসন্ধান করি। তাই তারা কনস্টানটিনোপল নাম বদলে এর জায়গায় ইস্তান্বুল রেখেছিলো, যাতে আমরা এই হাদীস সম্পর্কে ভুলে যাই। কনস্টানটিনোপল এখনও বিজিত হয়নি। এবং এ সম্পর্কে আমার আরেকটি লেকচার রয়েছে ৪ জুলাই ২০১২ গোমবাক এর আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনশাআল্লাহ্, আপনারা আসতে ভুলবেন না) ।
কনস্টানটিনোপল বিজিত হওয়ার পরে (কেবলমাত্র তখন) দাজ্জাল সামনে আসবে (অর্থাৎ তার মিশন সম্পন্ন করতে সে মানুষের রূপে বেরিয়ে আসবে, এবং এটাই হচ্ছে খুরুজ)।
অতএব তার
মুক্তি
অনেক
আগেই
হয়েছিলো, কিন্তু
খুরুজ
(বেরিয়ে
আসা/
আবির্ভাব) এখনও
হয়নি।
এটা
ঘটবে,
তবে
কনস্টানটিনোপল বিজিত
হওয়ার
আগে
(দাজ্জালের আবির্ভাব) হবে
না।
-আল্লামা ইমরান নযর হোসেন
অনুবাদ: দ্বীনুজ্জামান চৌধুরী
-আল্লামা ইমরান নযর হোসেন
অনুবাদ: দ্বীনুজ্জামান চৌধুরী
No comments:
Post a Comment